রাজধানীর গুলিস্তানে আজ দুপুর ২টায় শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশ। এই শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পল্টন মোড় থেকে জিপিও এবং স্টেডিয়াম এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্যরা ছাড়াও এপিবিএন এর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকছে রাজধানী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) নগরীতে ঘুরে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে দেখা গেছে।
গাজীপুর থেকে শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন কবির আহমেদ। তিনি গাজীপুর যুবলীগের কমিটিতে আছেন। তিনি বলেন, আজ গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায় বেশ পুলিশ সদস্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট যাওয়ার রাস্তায় শান্তি সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সকাল থেকে এই সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে কোনো ধরনের যান সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এছাড়াও কোনো কর্মী সমাবেশ স্থলে যেতে চাইলেই তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সচিবালয়ের পূর্ব পাশের সড়কে র্যাব সদস্যরা গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছেন।
পল্টন মোড়ে গুলিস্তান মুখী সড়কের পাশে পুলিশের পিকআপ ভ্যান, জলকামানের গাড়ি রাখা হয়েছে। এছাড়াও এই মোড়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি প্রেসক্লাব যাওয়ার মোড়ে ট্রাফিক বক্সের সামনে, জিরো পয়েন্টে, শান্তি সমাবেশের মঞ্চের পাশে ছাড়াও গুলিস্তান মাজার এলাকায় বাড়তি পুলিশে রয়েছে।
দুপুরে পল্টন মোড়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন। যাতে কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে তার জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।