নওগাঁর নিয়ামতপুরে বোরো ধান কাটাকে কেন্দ্র করে আদিবাসীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বুধু সরদার (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই মহিলাসহ আহত হয়েছে অন্তত আরও ৮ জন। এঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৬টার দিকে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাসনা ধানের ক্ষেতে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত বুধু উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়ন বান্দইল বিচিবাড়ী গ্রামের মসি সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাসনা মাঠে বান্দইল বিচিবাড়ী গ্রামের আরএস রেকর্ডভুক্ত ৩ একর ৫৬ শতক জমিতে চার ভাই তারানু সরদার, বুধু সরদার, খোকা সরদার, বিধান সরদার বোরো ধান রোপন করেন। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তারা জমিতে ধান কাটতে যান। এর পর বিকেল ৬টার দিকে একই এলকার মাসনা গ্রামের জগলালের ছেলে বঙ্গপাল ও সুচুর ছেলে সেভিন এর নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে হাসুয়া, তীর ধনুক, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে।
এতে বুধু সরদার, মন্টুর স্ত্রী বুঝমনি (৫০), নিহত খগনার ছেলে সারিতন (৩৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার হরিসপুর দেওপুরা গ্রামের মজিদের ছেলে বিজয় (১৫), জেলার পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের সিনাই এর মেয়ে কবিতা (১৯) এবং হামলাকারিদের মধ্যে মাসনা গ্রামের মহাদেবের ছেলে অতিস কুজুর (৫০), দেবেন্দ্রর ছেলে রিপন (৩০), প্রসান্ত (৩৫) আহত হয়।
পরে আহতদের নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বুধু সরদার মারা যান। অন্যান্য আহতদের মধ্যে গুরুতর সারিতন, বিজয়, কবিতাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উল্লেখিত জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে আজকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারে পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’