স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দল। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে তারা কী জানতে চেয়েছেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা। তাদের জানিয়ে দিয়েছি, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। তবে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। সেই উপহার দেওয়ার জন্য তিন মাস নির্বাচন কমিশন সরকার পরিচালনা করবে। সরকার মানে, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন পরিচালনা করতে যা যা প্রয়োজন, তা নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে করতে পারবে। আমরাও মনে করি, অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন নিয়ে তারা কী বলেছেন,- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা এতটুকু বলেছেন— আমরাও আশা করি, একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে এর বাইরে কোনো কথা নেই।
গুম, খুন ও বিরোধী দল যে হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগ করেছে, তা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে বিশেষ কোনো কথা হয়নি। তারা বলেছে- তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। গুম, খুন, ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা অনেক কমে গেছে। আমরা গুম, খুনের একটি চিত্র তার সামনে তুলে ধরেছি। ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে যে পরিমাণ গুম হতো, ২০০৪ সালের একটি সংখ্যা তুলে ধরেছি।
মন্ত্রী বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশনা অনুসারে, ২০০৪ সালে ৪০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তখন যে নিখোঁজগুলো হয়েছে, তার তুলনায় এখন অনেক কম।
তিনি বলেন, গুমগুলোর বেশিরভাগই হেইনাস (ঘৃণ্য) অপরাধের সঙ্গে জড়িত। দণ্ডের ভয়ে তারা পালিয়ে বেড়ান। কিংবা পারিবারিক সমস্যার কারণে তারা পালিয়ে বেড়ান। কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য লোকসান দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ৭৬ জন গুমের কথা, যেটা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায়, সেগুলো সম্পর্কে তাকে একটা তথ্য দিয়েছি। যার মধ্যে ২৭ জনের অবস্থান জানিয়েছি। তারা গুম হয়নি, কেউ কারাগারে, কেউ পরিবারের সঙ্গে আছে। কেউ মালয়েশিয়া কিংবা ভারতে আছে। অন্য আরও কয়েকজনের খোঁজ নিচ্ছি, খুব শিগগিরই তাদের খোঁজ দিতে পারবো।