ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এ কারণে আঞ্চলিক উপসাগরগুলোতে নৌযান চলাচলে হুমকি বাড়তে পারে। মঙ্গলবার স্থানীয় ও ইসরায়েলি গণমাধ্যগুলো এমন দাবি করেছে।
দ্যা জেরুসালেম পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান তার যুদ্ধজাহাজগুলোতে বিভিন্ন শক্তিশালী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করেছে। দেশটির সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলো বলছে, ‘ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া শক্তিশালী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে নৌযান চলাচলে হুমকি বাড়তে চাইছে। তাদের যুদ্ধজাহাজগুলোতে দেশীয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘কদর-৪৭৪’ যুক্ত করা হয়েছে। এটার পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটার। এছাড়া শক্তিশালী আবু মাহদি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে তেলের ট্যাঙ্কার ও বিভিন্ন নৌযান ধ্বংস করা যাবে।
ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সিও এ বিষয়ে রিপোর্ট করেছে। সরকারপন্থী গণমাধ্যমটি জানিয়েছে যে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নৌ ইউনিটের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলি রেজা তাংসিরি বলেছেন, আবু মাহদি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে শত্রুর বিমানবাহী রণতরী এবং বিমানগুলোকে অকার্যকর করে দেওয়া সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনীর নৌ বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘আবু মাহদি’ যুক্ত করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি ইরানের উপকূল থেকে শত্রুকে দূরে রাখতে পারে এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধে শত্রুকে মোকাবেলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল।
তিনি আরও বলেন, আবু মাহদি ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুকে ঘায়েল করতে পারে। এটি নৌযানে যেমন স্থাপন করা যায়, তেমনি উপকূলীয় যেকোনো প্ল্যাটফর্ম থেকেও নিক্ষেপ করা যায়।
আবু মাহদি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি, যা ইরানের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষার পরিসরকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।