বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাকে (ফখরুল) দেখতে ভালো মানুষ মনে হলেও তার অন্তরে বিষ।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
গত রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ার জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) ভূমিধস বিজয় হয়। বিরোধী দল ভোটে অংশ না নেওয়ায় দেশটির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিতের ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘গলায় পানি এসেছে’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কম্বোডিয়ায় বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলে তাদের নাকি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখানেও যদি কেউ নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কার দোষ? কম্বোডিয়ার খবর শুনে অনেকের গলায় পানি এসে গেছে। ফখরুলের গলায় অনেক পানি। দেখতে মনে হয় ভালো মানুষ, অথচ মুখে এতো বিষ! কী বাজে ভাষায় বক্তৃতা করে!
সংঘাত করতে ২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গসংগঠন সমাবেশ ডেকেছে বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি নেতার বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শোকের মাসের কর্মসূচি দিলেও বিএনপি ও তাদের দোসররা তো বলেই, কিছু মিডিয়াও বলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। ২৪ থেকে ২৭, ২৭ থেকে ৩০ জুলাই- এটা আমাদের সুবিধা। কোথায় পাল্টাপাল্টি?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে আছে। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কিছুটা দুঃখ-কষ্টে আছে। এরপরও শেখ হাসিনার সততা ও পরিশ্রমের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
সভা থেকে শোকাবহ আগস্টের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে একই ধরণের কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন। কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও সম্পৃক্ত করার তাগিদ দেন তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মো. ফারুক খান, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল; দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।