তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুকে কেন্দ্র করে কদিন আগেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গণে বয়ে গেছে ঝড়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে হঠাত করেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আবার ফিরেও এসেছেন। তবে আসন্ন বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে তিনি দলে থাকবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেনা এখনও।
তামিমকে নিয়ে এমন অনিশ্চয়তার মূল কারণ তার চোট। পিঠের পুরনো চোটে অনেকদিন ধরেই ভুগছেন তিনি। এর চিকিৎসা নিতেই লন্ডনেও যাচ্ছেন দেশসেরা ওপেনার। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তার মেরুদণ্ডের হাড়ের দুই ডিস্কের মাঝে ক্ষয় ধরা পড়েছে।
এদিকে তামিম দুবাইয়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানো শেষে গতকাল গিয়েছেন ইংল্যান্ডের লন্ডনে। বিসিবির পরধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরিও আজ সেখানে যোগ দেবেন তার সঙ্গে। বিসিবি চিকিতসকের উপস্থিতিতেই এমআরআই করানোর কথা রয়েছে তার। এরপর এ পরীক্ষার রিপোর্ট দেখানো হবে সেখানকার একজন স্পাইন ফিজিশিয়ানকে।
ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ শেষেই তামিমের চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে পুরনো এ চোট নিয়ে গত আয়ারল্যান্ড সিরিজের সময়েও ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন দেশসেরা ওপেনার। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পরামর্শে তখন একজন স্পোর্টস অস্টিওপ্যাথ ও স্পোর্টস ফিজিশিয়ানের কাছেও পরামর্শ নিয়েছেন তিনি।
এদিকে সে সময় তামিমের কোমরের একটি স্ক্যানও করা হয়েছিল। আর বিসিবি তখন জানিয়েছিল, রিপোর্টে গুরুতুর কোনো সমস্যা নেই এই ওপেনারের। আর এখন সেই একই রিপোর্ট দেখে লন্ডনের স্পাইন ফিজিশিয়ান টনি হ্যামন্ড বলছেন, মেরুদণ্ডের নিচের দুটি হাড়ের মাঝের ডিস্কে ক্ষয় ধরেছে তার।
এদিকে তামিমের এমন চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। আর তা করলে মাস তিনেকের জন্য মাঠের বাইরে কাটাতে হবে দেশসেরা ওপেনারকে। আবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে ইনজেকশনও। তবে সেক্ষেত্রে ব্যথা পুরোপুরি সারবে না। কয়েকদিন অন্তর অন্তর ফিরে আসবে আবার।
শেষ পর্যন্ত চোটমুক্তির জন্য কোন পথে হাটবেন তামিম তা জানা যাবে ডাক্তারের সঙ্গে চুড়ান্ত পরামর্শ শেষেই। এ বিষয়ে নারী দলের পুরষ্কার ঘোষণার দিনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এখন ও বলছে, একটা ডাক্তার দেখিয়েছে সে বলেছে ইনজেকশন দিতে হবে অথবা সার্জারি করতে হবে। ফাইন, যেটা লাগবে করবো আমরা। মানে আমরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে। ওকে সুস্থ করার জন্য যা যা দরকার আমরা করতে রাজি আছি। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।’