আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে ২৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারো ক্রিকেট মাঠে ফেরার কথা জানান টাইগার এই ওয়ানডে অধিনায়ক। যদিও ওয়ানডে অধিনায়ক দলে ফিরে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কদিন আগে গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে তামিম জানিয়েছিলেন, ছুটি ও চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
আজ (রোববার) টিম হোটেলে নারী ক্রিকেট দলের জন্য বোনাস ঘোষণা দেওয়ার পর তামিম প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন বিশ্বকাপে তামিমই ক্যাপ্টেন্সি করবেন। বলেন, ‘তামিম আমাদের ওয়ার্ল্ডকাপের ক্যাপ্টেন। ও না থাকায় লিটন ক্যাপ্টেন্সি করেছে। ও যদি ফেরত আসে ও করবে, না হলে অন্য কেউ করবে।’
অনেকদিন ধরেই পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। সর্বশেষ সিরিজগুলোতেও তাকে অস্বস্তি নিয়ে ম্যাচ এবং অনুশীলনে অংশ নিতে দেখা গেছে। তবে এরই মাঝে তার আচমকা অবসর ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সেই সিদ্ধান্ত বদলানোর পর তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। এরপরই চিকিৎসার কাজে তার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা রয়েছে। এবার জানা গেল, চোট সারাতে তার অপারেশন লাগতে পারে।
চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তামিম। সেখানে তার চোটের বর্তমান অবস্থা জানার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন ৩৪ বছর বয়সী এই ওপেনার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,‘তামিমের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তিনটি সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে- ইঞ্জেকশন, রিহ্যাবিলিটেশন ও অপারেশন। তামিমের এমন চোট সারাতে অপারেশন লাগতে পারে, তবে সেটি হতে পারে ওই প্রক্রিয়ার সর্বশেষ সমাধান। কেননা এই মুহূর্তে কোনো সার্জারিতে গেলে তাকে কমপক্ষে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলছেন, ‘তবে এই মুহূর্তে তা সম্ভব কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের বড় দুটি টুর্নামেন্ট রয়েছে। আমরা চিকিৎসক কী পরামর্শ দেন তা জানার অপেক্ষায় আছি। অপারেশন ছাড়াও রিহ্যাবিলিটেশন এবং ইঞ্জেকশনের অপশনও আছে তামিমের হাতে।’
এদিকে, বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে মেন্টর হিসেবে দেখা যাবে কি না এই বিষয়েও কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘গণভবনে যা হয়েছে ওখানেই থাকুক, বাইরে বলা ঠিক না।’