ভারতের মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে পাহাড় ধসে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন দিন পরেও উদ্ধারকাজ শেষ করা যায়নি। শনিবার সকালে নতুন করে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে দেশটির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও ধস কবলিত ৮৬ জন গ্রামবাসীর খোঁজ মেলেনি।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, রায়গড় জেলার ইরশালওয়াড়ি গ্রামে বুধবার ভোরে পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে। কাদামাটিতে ডুবে যায় গ্রামের একাধিক বাড়ি। এখন পর্যন্ত আদিবাসী গ্রামটির ধ্বংসস্তূপ থেকে ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে উদ্ধারকারী দলের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শনিবার আবার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে গ্রামবাসীদের খোঁজ শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার খরচও বহন করবে সরকার।
খবরে বলা হয়েছে, ইরশালওয়াড়ি গ্রামে মোট ২২৯ জন বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ১১১ জন নিরাপদে রয়েছেন। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে অন্তত ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পুরোপুরি বা আংশিক চাপা পড়েছে।
পাহাড়ের উপরে এই গ্রামটিতে যাতায়াতের পথ বেশ দুর্গম। পাকা রাস্তা নেই। পাহাড়ের নিচ থেকেএই গ্রামে পৌঁছতে অন্তত আধ ঘণ্টা সময় লাগে। তার উপর গত কয়েক দিন মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণেই ধস নেমেছে। দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজে সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারীরাও।