প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেছেন, শেখ হাসিনাই সরকারপ্রধানের দায়িত্বে থাকবেন এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে সেটা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে সম্পূর্ণ নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাস করে সংবিধান থেকে সেটা বের করে দিয়েছে। আর সেখানে ফিরে যাওয়া যাবে না। আর সেখানে ফিরে যাওয়া হবে না।’
বিএনপি নির্বাচন চায় না দাবি করে তিনি বলেন, ‘ বিএনপি-জামায়াত চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। তারা নির্বাচন করতে চায় না, তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে আবার কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাক। কেয়ারটেকার সরকার আর আসবে না, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন করবে।’
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন না হয় সেজন্য আইন করেছে। হত্যাকারীদের চাকরি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছে। আর জামায়াত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে শক্ত হাতে করতে হবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংসদ সদস্য আনিসুল হক বলেন, ‘আজ বড় বড় শত্রুদের মোকাবিলা করতে হবে। তাদের মোকাবিলা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষৎ অন্ধকার। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আবার একটা নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে।’
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ।