নির্বাহী আদেশে গ্যাসের বিতরণ ও সঞ্চালন চার্জ বাড়ানো হয়েছে। বিতরণ কোম্পানিভেদে প্রতি ঘনমিটারে ৭ থেকে ১১ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে এতে গ্রাহকের গ্যাসের দামে কোনো তারতম্য হবে না। তারা আগের দরেই টাকা পরিশোধ করবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। যা চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে।
নতুন আদেশে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির বিতরণ চার্জ ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৬ পয়সা এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৪ পয়সা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১ পয়সা, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ পয়সা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ২৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৭ পয়সা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ১১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৮ পয়সা করা হয়েছে।
তবে আদেশে অন্যান্য বিতরণ কোম্পানিকে সিস্টেম লস না দিলেও তিতাস গ্যাসকে ২ শতাংশ হারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। আর গণশুনানির মধ্যদিয়ে গত বছরের জুনে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গ্যাসের দামের বিষয়ে সর্বশেষ গণশুনানি হয় গত বছরের মার্চে। কোম্পানিগুলো গ্যাসের দামের পাশাপাশি বিতরণ চার্জ বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল। ওই শুনানিতে বিইআরসি টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল সবগুলো কোম্পানিই মুনাফায় রয়েছে।
শুনানিতে দেখা যায়, কোম্পানিগুলোর পরিচালন বহির্ভূত আয় এত বেশি, তাদের বিতরণ চার্জ আদায় না করলেও মুনাফায় থাকে। অর্থাৎ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক আমানত, নানারকম মাশুল দিয়েই মুনাফায় থাকে কোম্পানি। এ কারণে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিতরণ কোম্পানির কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কিছুটা মাশুল দেওয়ার মতামত দেয় টেকনিক্যাল কমিটি। পরে কর্ণফুলীর তৎকালীন বিদ্যমান দর ঘনমিটার ২৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ৯ পয়সা করার সুপারিশ দেওয়া হয়। আর অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির বিতরণ চার্জ বিলুপ্ত করার সুপারিশ আসে হিসাব থেকে। এছাড়া একমাত্র সঞ্চালন কোম্পানি জিটিসিএল বর্তমান চার্জ ৪২ পয়সা থেকে ৬ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ দেওয়া হয়। পরে জুন মাসে দেওয়া আদেশে ৫ পয়সা বাড়িয়ে ৪৭ পয়সা করা হয়।