জিম্বাবুয়েকে লক্ষ্য দিয়েছিল মাত্র ১৫০ রানের। সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালোই এগুচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে খেই হারিয়ে ফেলেছে জিম্বাবুইয়ানরা। যার ফলে তাদেরকে থেমে যেতে হয়েছে ১৩৮ রানে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে গেলো সফরকারী পাকিস্তান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করতে নেমে একা এক মোহাম্মদ রিজওয়ানই লড়াই করেছিলেন। পাকিস্তান করেছিল ১৪৯ রান। একা রিজওয়ানই করেছিল ৮২ রান। ৬১ বলে খেলা ইনিংসটিতে ছিল ১০টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা মোটামুটি ছিল। ২১ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই ওপেনার। ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান ওয়েসলি মাধভিরে। এরপর শূন্য রানে আউট হয়ে যান টি মরুমানি। এরপর ওপেনার তিনাশে কামুনুকাম্বি এবং ক্রেইগ আরভিন মিলে ভালো জুটি গড়েন। তাদের জুটিতে ৭৭ রান পর্যন্ত চলে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
তিনাশে ৩৫ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্রেইগ আরভিনও ২৩ বলে ৩৪ রান করে। এরপর আর কেউ ঠিকভাবে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি বোলারদের সামনে। রায়ান বারি করেন ১৪ রান। শেষ মুহূর্তে লুক জংউ ২৩ বলে ৩০ রান করে চেষ্টা করেন জিম্বাবুয়েকে জয় এনে দিতে। কিন্তু অপরাজিত থেকেও তিনি পারলেন না। জিম্বাবুয়ে থেমে গেলো ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করে।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে লেগব্রেক বোলার উসমান কাদির ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ হাসনাইন ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ হাফিজ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ এপ্রিল, শুক্রবার।