রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ক্রমাগত কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে, অথচ আপনারা তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করেন না। তারা যে দিনের পর দিন প্রেস ক্লাবের সামনে ও নয়াপল্টনে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি দিয়ে আসছে! সেটা কি আপনারা জিজ্ঞাসা করেছেন?
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বানানীর সেতু ভবনে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে একই সময়ে কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ। সড়ক আটকে এ দুই দল কর্মসূচি পালন করায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়কে থাকা যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের অফিসের সামনে মিটিং করি। সেদিক দিয়ে তেমন একটা যানবহন চলে না। নির্বাচনের সময় বিএনপি সমাবেশ করলে সবাই বলে যে, তারা তো অনেক বড় সমাবেশ করে ফেলেছে। তখন আপনারাই বলেন আওয়ামী লীগের সমাবেশ তো ছোট হয়েছে। এগুলো আবার কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের প্রভাব ফেলে। তাদের অনুভূতিতে নাড়া খায়।
তিনি বলেন, নির্বাচন খুব দূরে নয়। আমরা তো আগে এসব সমাবেশ করিনি। এখন নির্বাচন সামনে আর ওরা (বিএনপি) তো কর্মসূচি করেই যাচ্ছে। তাহলে কী আমরা করব না! আমরা যেহেতু বড় দল তাই ছোট জায়গায় সমাবেশ করতে পারি না। যে কারণে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন। গুলশানের ভায়োলেন্স নিয়ে কথা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধিদের যা বলেছি তাকেও তাই বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতই এদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে, আর সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভূমিকা পালন করবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আমাদের আপত্তি নেই। তবে কোনো শর্ত চলবে না। সংবিধান সম্মতভাবে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে, যা পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।