নিউজল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় যৌথভাবে শুরু হচ্ছে নারী বিশ্বকাপ ফুটবল। প্রথমবারের মত ৩২টি দল নিয়ে আয়োজিত এই আসরের পর্দা ওঠছে আজ। নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এবারের বিশ্বকাপ সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।
১৯৯১ সাল থেকে শুরু হওয়া নারী বিশ্বকাপে এত দলের অংশগ্রহণ একটি বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। চায়নায় অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে ১২টি দল অংশ নিয়েছিল। ২০১১ সালে মাত্র ১৬টি দল অংশ নিয়েছিল। চার বছর আগে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আসরে খেলেছিল ২৪টি দল। সবাইকে টপকে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফেভারিট যুক্তরাষ্ট্র।
চেলসির তারকা ফরোয়ার্ড স্যাম কারের নেতৃত্বে ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াও এবার ফেভারিটের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আগামী ২০ আগস্ট সিডনিতে হবে ফাইনাল। এবারের টুর্নামেন্টে ৩২টি দল আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে। প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ আট দল নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সংখ্যার দিক থেকেই এবারের বিশ্বকাপ সর্ববৃহৎ নয়। এবারের প্রাইজ মানিও অন্যান্য সব আসরের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ফিফা। ২০১৯ সালের নারী বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবারের প্রাইজ মানি। সব মিলিয়ে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে।
প্রাইজ মানি যেভাবে ভাগ করা হবে :
পর্ব খেলোয়াড় দল
গ্রুপ পর্ব ৩০ হাজার ডলার ১.৫৬ মিলিয়ন ডলার
শেষ ষোল ৬০ হাজার ডলার ১.৮৭ মিলিয়ন ডলার
কোয়ার্টার ফাইনাল ৯০ হাজার ডলার ২.১৮ মিলিয়ন ডলার
চতুর্থ স্থান ১ লাখ ৬৫ হাজার ডলার ২.৪৬ মিলিয়ন ডলার
তৃতীয় স্থান ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার ২.৬১ মিলিয়ন ডলার
রানার্স আপ ১ লাখ ৯৫ হাজার ডলার ৩.০২ মিলিয়ন ডলার
চ্যাম্পিয়ন ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ৪.২৯ মিলিয়ন ডলার