জাপান সাগরে নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে চীন ও রাশিয়া। এ বিষয়ে রোববার চীনের একটি নৌবহর রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কৌশলগত জলপথের নিরাপত্তা রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এই মহড়া চালানো হবে।
‘নর্দার্ন/ইন্টার্যাকশন-২০২৩’ কোড-নামযুক্ত এই মহড়া ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে সামরিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করার যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে বেইজিং প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।
পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ এবং চারটি হেলিকপ্টার নিয়ে গঠিত চীনা ফ্লোটিলা পূর্বদিকের কিংডাওর বন্দর থেকে রওনা হয়ে একটি ‘পূর্ব নির্ধারিত এলাকায়’ রুশ বাহিনীর সাথে মিলিত হবে। রবিবার মন্ত্রণালয় তাদের সরকারি উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এমনটাই জানিয়েছে।
শনিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে জাপান সাগরে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহড়ায় রাশিয়ার নৌ ও বিমান বাহিনী অংশ নেবে। সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সামরিক পর্যবেক্ষকদের উদ্ধৃত করে বলেছে, এই প্রথমবারের মতো রাশিয়ার উভয় বাহিনী মহড়ায় অংশ নেবে।
গ্রোমিকি ও সোভারশেনি নামে দুটি রুশ যুদ্ধজাহাজ জাপান সাগরের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। তারা এই মাসের শুরুর দিকে সাংহাইয়ে চীনা নৌবাহিনীর সাথে ফর্মেশন, যোগাযোগ এবং সামুদ্রিক উদ্ধার বিষয়ে পৃথক প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
সাংহাইয়ে থামার আগে একই জাহাজ তাইওয়ান এবং জাপানের পাশ দিয়ে যাত্রা করেছিল। তাইপেই ও টোকিও উভয়ই রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে।