আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। আগামীকাল (শুক্রবার) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রশিদ খানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব আল হাসান বাহিনী। ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব জানালেন আফগানদের বিপক্ষে এই সিরিজটি চ্যালেঞ্জের। বলছিলেন, ‘ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুটি সিরিজই আমরা ভালো খেলেছি। এটা আমাদের জন্য নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেভাবে আমরা ক্রিকেটটা খেলছি, যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, প্রতিটি ম্যাচেই ওভাবে পারফর্ম করার জন্য।’
‘কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কাউকে নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। আমাদের দলও কোনো একজন ব্যাটসম্যান বা বোলারের ওপর ভরসা করে নেই। আমরা চাই যেন আমরা দলীয়ভাবে পারফর্ম করি, যেটার মাধ্যমে যেন জয়লাভ করতে পারি। আমাদের তাড়না একইরকম রাখার চেষ্টা করব আমরা।’
সাকিবের মতে কন্ডিশন দুই দলের জন্যই সমান, ‘কন্ডিশন নিয়ে আসলে আমরা খুব একটা চিন্তা করছি না। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, দুই দলের জন্যই কন্ডিশন সমান। এ ছাড়া আমার কাছে মনে হয় না যে আমরা এখন এমন দল আছি যে, আমাদের কন্ডিশনের ফায়দা নিতে হবে। আমি অন্তত বিশ্বাস করি যে আমাদের দলের এতটা সামর্থ্য আছে, যে কোনো কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারে এবং যে কোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারে। আমি এটাই আশা করব আমার দল থেকে যে, আমরা যেন ওরকম মানসিকতা নিয়েই মাঠে যাই এবং উন্মক্ত মানসিকতায় থাকি ও দলের প্রয়োজনে যা যা কা সম্ভব, তা যেন করতে প্রস্তুত থাকি।’
গেল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেছেন সাকিব। অবশ্য নামের পাশে তো আরো রয়েছে ৬০০+ উইকেট। সংবাদ সম্মেলনে তার এই রেকর্ড নিয়ে অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে জানালেন এটা প্রেরণা জোগায়। তবে অবসরের পরই ভালো বুঝতে পারবেন এই বিষয়ে।
সাকিব বলছিলেন, ‘যে কোনো মাইলফলকই অবশ্যই প্রেরণা জোগায়। এরকম কিছু হলে তো অবশ্যই নিজের কাছে ভালো লাগবে, আরও বেশি প্রেরণা কাজ করে ভালো করার জন্য। তবে আল্টিমেটলি কতটা ভালো লাগতে পারে, এটা হয়তো অবসরের পর বুঝতে পারব। তবে আমি যেটা সবসময় বলে থাকি যে, দলের জন্য অবদান রাখতে চাই এবং যেহেতু দুটি দিক আমার আছে (ব্যাটিং ও বোলিং) এবং দুই দিকে অবদান রাখতে পেরেছি, এটা অবশ্যই আমার কাছে ভালো লাগার একটা জিনিস।’