ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন। নেপাল ম্যাচের জন্য ভারপ্রাপ্ত কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু প্রশ্নত্তোরের এক পর্যায়ে ‘ক্রাইসিস মোমেন্ট’ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। সেই সংকটকালীন সময়ে পাশে নেই বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি। তিনি নিজে না থাকলেও দলের ওপর খবরদারি রয়েছে ঠিকই।
বাংলাদেশ নারী দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন ফিটনেস কোচ ইভান রাজলভ। আট মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাওয়া সাবিনাদের সঙ্গে থাকতে দেননি ইভান রাজলভকেও। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির এই খবরদারি অবশ্য মেনে নিয়েছেন বাফুফে। সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,‘পল ইভানকে নারী দলের সঙ্গে দেয়নি এবার। সে এখনো আমাদের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর তার নির্দেশনাতেই এটা হয়েছে।’
২০১৬ সালে টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে বাফুফেতে যোগ দেন ব্রিটিশ নাগরিক পল স্মলি। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে যোগ দিলেও তার কাজের মূল ক্ষেত্রই ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সিনিয়র, জুনিয়র সকল দলের সঙ্গেই ছিলেন পল। অনুশীলন সূচি, পরিকল্পনা সব কিছুই ছিল তার তত্ত¡বধায়নে। আকস্মিকভাবে মে মাস থেকে তিনি আর সাবিনাদের অনুশীলনে আসছেন না।
প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন গত ২৮ মে বাফুফেতে পদত্যাগ করেছেন। ছোটনের অনুপস্থিতিতে নারী ফুটবল দল গভীর সংকটে পড়ে। এরপরও তিনি অনুশীলনে না গিয়ে ছুটি কাটাতে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। সপ্তাহ খানেক আগে বাংলাদেশে এসেও নারী দল কিংবা এলিট একাডেমি কোথাও অনুশীলন করাননি। নেপালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি প্রীতি ম্যাচেও তিনি নিজেকে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত করছেন না।
পল নারী দলের সঙ্গে না থাকার কারণ সম্পর্কে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,‘সভাপতির সঙ্গে পলের আলোচনা চলমান। সেই আলোচনায় সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সে এখানে সম্পৃক্ত হবে না।’
পলের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি আরও এক বছর রয়েছে। সেই চুক্তি থাকাবস্থায় গত প্রায় দুই মাস তিনি ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে নানা ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়ে বাফুফের সুযোগ-সুবিধা নিয়মিত গ্রহণ করলেও নারী দলের সংকটপূর্ণ সময়ে পল নিজে এবং ইভানকে সম্পৃক্ত না করে আবার প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের নির্বাহী কমিটির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘পল স্মলিকে সভাপতি রাখতে চাইলে রাখুক অথবা সে চলে যেতে চাইলে যাক। এভাবে শুধু আলোচনাই চলবে সে বেতন গ্রহণ করবে কিন্তু কাজ করবে না সেটা ঠিক না।’
সংবাদ সম্মেলনে নেপাল ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফ কর্মকর্তা মিলিয়ে ৩৪ জনের নাম প্রকাশ করেছে বাফুফে। ৩৪ জনের মধ্যে তিন জন দলনেতা। বাফুফের তিন নির্বাহী সদস্য দু’টি ম্যাচের জন্য দলনেতা হওয়ায় আবার আলোচনার খোরাক তৈরি করছে।