আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর দু’দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের ওপর সতর্ক নজর রাখছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলৎজসহ এই জোটের ৩১টি সদস্য দেশের নেতারা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন; যারা দুদিন ধরে প্রধানত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েই আলোচনা করবেন।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ৫০০ দিন পার হয়ে গেছে এবং এই আক্রমণ শুরু হওয়ার পর মস্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বহু শহর ও গ্রাম দখল করে নিয়েছে, বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মানবিক, আর্থিক ও সামরিক সাহায্য নিয়ে ইউক্রেনে ছুটে গেছে ইউরোপ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিল ইন্সটিটিউট ফর দ্য গ্লোবাল ইকোনমির হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে এই সাহায্যের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি ডলার।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সঙ্কটের বিভিন্ন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোর একজোট হওয়া খুব একটা সহজ ছিল না। রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক কারণে দেশগুলোকে নানা সময়ে ভিন্ন রকমের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে একটি কঠিন প্রশ্ন হচ্ছে, পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার সাথে সরাসরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধে না জড়িয়ে, ন্যাটো ক্রেমলিনকে কেমন বার্তা পাঠাবে যাতে তারা তাদের ইচ্ছে অনুসারে ইউক্রেন অথবা ইউরোপের অন্য কোনও দেশ দখল করে নিতে না পারে।
কূটনীতিকরা বলছেন, ১১ ও ১২ জুলাইয়ের আসন্ন এই সম্মেলনে রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলার বিষয়ে বিস্তারিত এক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। বলা হচ্ছে শীতল যুদ্ধ অবসানের পর রাশিয়াকে মোকাবেলায় এটাই সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা।
• ন্যাটো কী?
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনকে সংক্ষেপে বলা হয় ন্যাটো। ১২টি দেশ মিলে ১৯৪৯ সালে এই জোট গঠন করেছিল। তাদের মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা এবং ফ্রান্স।
বর্তমান এই জোটের সদস্য সংখ্যা ৩১।
ন্যাটো জোটের সংবিধানের পাঁচ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনও একটি সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে অন্যান্য দেশ এটিকে তাদের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করবে এবং আক্রান্ত দেশটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।
এই জোটের আসল লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যাতে ইউরোপে তাদের সম্প্রসারণ ঘটাতে না পারে। কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ন্যাটোতে যোগ দেয়।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় যে, পূর্ব ইউরোপের এসব দেশ ন্যাটোতে যোগদানের ফলে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
এই জোটে ইউক্রেনের যোগ দেওয়ার যে আগ্রহ তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। তাদের আশঙ্কা এর ফলে ন্যাটো তাদের নাকের ডগায় গিয়ে পড়বে। ইউক্রেন এখনও এই জোটের সদস্য না হলেও ন্যাটো অতিসম্প্রতি রুশ সীমান্তের কাছে পৌঁছে গেছে। কারণ এ বছরেই রাশিয়ার আরেক প্রতিবেশি দেশ ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে।
• রাশিয়াকে প্রতিরোধে ন্যাটোর পরিকল্পনা
রাশিয়া যদি ন্যাটোর কোনও সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ চালায়, সেক্ষেত্রে তাকে মোকাবিলা করার জন্য এই জোটের নেতারা নতুন একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন।
এই পরিকল্পনায় নিখুঁতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়া যদি আর্কটিক, উত্তর আটলান্টিক, মধ্য ইউরোপ এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আক্রমণ করে তাহলে জোটের সৈন্যরা কোথায় কোথায় যাবে এবং তারা কী কী করবে।
লন্ডনভিত্তিক প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউট বা রুসির উপ-পরিচালক ম্যালকম চামার্স বলেন, ১৯৯১ সালে শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটাই ন্যাটোর সবচেয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা।
‘সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর, বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা পুরোপুরি উবে গিয়েছিল,’ বলেন তিনি।
‘কিন্তু ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে বোঝা যায়, এই হুমকি এখনও বাস্তব- বিশেষ করে বাল্টিক প্রজাতন্ত্রগুলোর জন্য।’
কিংস কলেজ লন্ডনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক অধ্যাপক ট্রেসি জার্মান বলেন, এগুলো সবই যুদ্ধকে নিরুৎসাহিত করা এবং আত্মরক্ষার প্রয়োজনের সাথে সম্পর্কিত। একই সাথে পূর্ব দিকে যেসব মিত্র দেশ আছে তাদেরকে আশ্বস্ত করারও ব্যাপার।
• ইউক্রেনকে কি ন্যাটোতে নেওয়া হচ্ছে?
ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে ২০০৮ সালে বলা হয়েছিল, দেশটি ভবিষ্যতের কোনও এক সময়ে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। কিন্তু তাদের খুব দ্রুত সদস্য করে নেওয়ার ব্যাপারে তারা সম্প্রতি অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিলে ন্যাটোর সংবিধান অনুসারে এই জোটের সদস্য দেশগুলোকে এখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে, যুদ্ধের মাঝখানে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা কিংবা না করার বিষয়ে জোটের ভেতরে ঐকমত্য রয়েছে। তিনি বলছেন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অর্থ হবে যদি যুদ্ধ চলতেই থাকে, তাহলে আমরা সবাই এই যুদ্ধে নেমে গেছি। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি, যদি এরকমটা হয়।
যুদ্ধের ৫০০ দিন পরও ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা নিয়ে জোটের ভেতরে ভিন্নমত থাকলেও ইউক্রেনের অবস্থান পরিষ্কার। তারা ন্যাটোর অন্যান্য সদস্য দেশের সাথে একই টেবিলে বসতে চায়, চায় সব ধরনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং তারা এখনই সেটা চায়।
কিন্তু ন্যাটো জোটের সংবিধান অনুসারে তারা ইউক্রেনকে এখনই সদস্য করতে পারবে না। কারণ সংবিধানে উল্লেখ আছে, কোনও দেশ যুদ্ধে লিপ্ত থাকলে তাকে জোটের সদস্য করা যাবে না।
তবে ইউক্রেন এখনই সদস্য হতে না পারলেও তারা অন্তত এই নিশ্চয়তা চায় যে আগামীতে তাদেরকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও তার এই আকাঙ্ক্ষা মিডিয়ার কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এরকম প্রতিশ্রুতি না পেলে প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি এই সম্মেলন পরিহারেরও হুমকি দিয়েছেন; যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিসহ ন্যাটোর কিছু দেশ বিরক্ত হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই সম্মেলনে যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে দেখা না যায়, তাহলে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলো যে ঐক্যবদ্ধ মস্কোকে সেই বার্তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
কিন্তু প্রধান সমস্যা হচ্ছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার অনেক আগেই ন্যাটো ইউক্রেনকে বলেছে, দেশটি তাদের জোটেই থাকবে। কিন্তু কিয়েভ এখন চাইছে তাদেরকে জোটে নেওয়ার ব্যাপারে যেন উল্লেখযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেটা কী?
বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক কাটিয়া এডলার বলছেন, এ বিষয়ে তিনি ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন সেকারণে তাদের নাম উল্লেখ করতে চাননি।
তারা তাকে বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটো পরিবারের সদস্য করে নেওয়ার ব্যাপারে জোটের সদস্য দেশগুলো একতাবদ্ধ। তবে এর খুঁটিনাটি কিছু বিষয়ে তাদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।
এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাল্টিক সাগরের যে তিনটি ছোট্ট দেশ দখল করে নিয়েছিল তার একটি এই লিথুয়ানিয়া।
কাটিয়া আডলার বলছেন, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়ার মানুষ ইউক্রেনের দুঃখ দুর্দশা বুঝতে পারে। তারাসহ পূর্ব ইউরোপের আরো একটি দেশ পোল্যান্ড, যারাও নিজেদেরকে রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার হিসেবে দেখে থাকে, মস্কোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা করে খুব দ্রুত গতিতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিতে হলে ন্যাটোর সব সদস্য দেশকে একমত হতে হবে। যেসব দেশ এখনই ইউক্রেনকে সদস্য করে নেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন।
ন্যাটোর কিছু কিছু সদস্য দেশ মনে করে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা করে, তার পরপরই যদি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করে নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তাহলে মস্কো ইউক্রেনের ওপর আক্রমণকে আরো প্রলম্বিত করতে পারে।
• ফিনল্যান্ড কেন ন্যাটোতে গেল
বাল্টিক অঞ্চলের দেশ রাশিয়ার প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড ন্যাটো জোটে যোগ দিয়েছে ২০২৩ সালের এপ্রিলে। এর আগে দেশটি ছিল নিরপেক্ষ অবস্থানে। রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের স্থল সীমান্ত রয়েছে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার।
ফিনল্যান্ডের যোগদানের ফলে ন্যাটো বাহিনীতে এখন নিয়মিত ও রিজার্ভ সৈন্যের সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি বেড়ে গেছে। ফিনল্যান্ডের পাশাপাশি বাল্টিক অঞ্চলের আরও একটি দেশ সুইডেনও ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি এখনও সুইডেনকে জোটে নিতে রাজি হয়নি। ফলে তাদের আবেদন ঝুলে রয়েছে। তুরস্ক বলছে, সুইডেন তাদের কিছু শত্রুকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে তুরস্কের হাতে তুলে দিতে হবে। এছাড়াও সুইডেনের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযোগ, দেশটি রাস্তায় মুসলিমবিরোধী বিক্ষোভের অনুমতি দিচ্ছে।
• ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনকে কীভাবে সাহায্য করছে
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে আমেরিকার তৈরি এফ-সিক্সটিনসহ অন্যান্য যুদ্ধবিমান দিতে পারবে। এসব বিমান চালানোর জন্য ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ৩১টি এব্রামস ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে। ব্রিটেন ইতোমধ্যে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে। জার্মানি পাঠিয়েছে ১৮টি লিওপার্ড-২ ট্যাঙ্ক। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোও কয়েক ডজন ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে। স্ট্রাইকার ও ব্র্যাডলির মতো সামরিক যানও ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন উভয়েই ইউক্রেনকে হাইমার্সের মতো মিসাইল-প্রতিরোধী ব্যবস্থা প্রেরণ করেছে; যেগুলোর সাহায্যে রাশিয়ার ফ্রন্ট-লাইনের আরও ভেতরে হামলা চালানো সম্ভব হচ্ছে।
ইউক্রেনের আকাশে ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ কিয়েভের কাছে বিমানপ্রতিরোধী ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে। এগুলো দিয়ে রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন জ্যাভলিন এবং এনলর মতো ট্যাঙ্কবিধ্বংসী যেসব অস্ত্র দিয়েছে। এসব অস্ত্র রুশ বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এগুলো গত বছরের বসন্তে কিয়েভে গিয়ে পৌঁছেছে।
তবে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানো হতে পারে এই আশঙ্কায় ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট লঞ্চার সরবরাহ করা হয়নি। সেরকম কিছু হলে ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই কারণে ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনে তাদের সৈন্য পাঠানো থেকে বিরত রয়েছে। বিবিসি বাংলা।