সরকার আবারও ভোটারশূন্য একতরফা নির্বাচন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৫ জুলাই) কক্সবাজারের উখিয়ায় মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ এক দমবন্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাপন করছে। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশুসহ প্রতিদিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে। রক্ত ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন জনপদে বহুদলীয় গণতন্ত্র বহু মত ও পথের শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিতে সরকার মনুষ্যত্বহীন অমানবিক পন্থায় সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠন ধ্বংস করছে। তারা আবারও ভোটারশূন্য একতরফা নির্বাচন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘একদিকে দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগের ব্যাপক বিস্তারে মানুষের মৃত্যু ও দুর্ভোগে সরকারের অবহেলায় ক্ষুব্ধ জনগণ অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সকারের দাবিতে সারাদেশের মানুষেরা যখন ঐক্যবদ্ধ তখন জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে ফেরাতেই বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষুকে ছুরিকাঘাতে আক্রান্ত করা একটি সু-পরিকল্পিত ঘটনা।’
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে কোনো বাংলাদেশিরই সহায়-সম্পত্তি, জান-মাল নির্বিঘ্নে চলাচলের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশ এখন নারকীয় সন্ত্রাসের বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ। জনসমর্থহীন সরকারের একমাত্র অবলম্বনই হচ্ছে সহিংস সন্ত্রাসের আশ্রয় গ্রহণ করা। তাদের টিকে থাকার একমাত্র গ্যারান্টি হচ্ছে জনসমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখা।’
ফখরুল বলেন, ‘এমন একজন শ্রদ্ধেয় ধর্মগুরুকে শারীরিকভাবে আহত করা কেবল আওয়ামী শাসন আমলেই সম্ভব।’
অবিলম্বে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষুর ওপর হামলাকারী দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
একইসঙ্গে তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে দল মত নির্বিশেষে সকল গণতন্ত্রকামী মানুষকে একযোগে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।