রফতানিতে মে মাসের ধারাবাহিকতায় জুনেও ইতিবাচক প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় গত জুনে বাংলাদেশের রফতানি আয় ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। জুন মাসে ৫৩১ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রফতানি আয়।
সোমবার (৩ জুলাই) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জুনে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ অর্জিত হলেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে আড়াই শতাংশ। গত বছরের এ সময়ে ৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে।
বিগত কয়েকমাস ধরে ডলার সংকট, আমদানিতে বাধা ও কলকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির অভাবে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখছিল না। মার্চে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, এপ্রিলে ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে মে মাস থেকে রফতানি প্রবৃদ্ধি মুখ দেখতে শুরু করে। সেই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৬ শতাংশের বেশি। জুন মাসে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকল।
এ প্রবৃদ্ধির ফলে বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় দাঁড়াল ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এ আয় বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানি আয় ছিল ৫২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
রফতানিতে বরাবরের মতেই অগ্রগামী দেশের পোশাক খাত। এ খাত থেকে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া ফুটওয়্যারে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, ক্যাপে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ম্যান মেইড ফিলমেন্ট ও স্ট্যাপল ফাইবারে ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে পাট জাত পণ্যে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ২৭ দশমিক ৪৭ ও হিমায়িত মাছে ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।