যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার ইআইইউয়ের প্রকাশিত বিশ্বের বসবাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের তালিকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ১৬৬তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
অর্থাৎ বাসযোগ্যতার দিক থেকে খারাপ অবস্থানে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা ৭ম স্থানে আছে। গত বছর ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের এই সূচকে একই অবস্থানে ছিল ঢাকা। গত বছরের তুলনায় এই শহরে মানুষের জীবন-যাপনের মানের কোনও উন্নতি ঘটেনি।
এর আগে, ২০১৯ সালে এই সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৮তম এবং তার আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ১৩৯তম স্থানে। ২০২১ সালের সূচকে ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৭তম ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। আর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির সময় বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারি থাকায় জরিপের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় ইআইইউ। যে কারণে ২০২০ সালে এই সূচক প্রকাশ করতে পারেনি ব্রিটিশ সাময়িকী।
প্রত্যেক বছর বাসযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের বড় শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে ইআইইউ। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো— এই পাঁচ সূচকের ওপর ভিত্তি করে বাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে যে শহর যত বেশি পায়, তালিকায় সেটির অবস্থান থাকে তত ওপরে। চলতি বছর ১৭৩টি শহরের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইআইইউয়ের এই তালিকায় এ বছর ১৬৬তম স্থানে থাকা ঢাকার পয়েন্ট ৪৩ দশমিক ৮। বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে নিচ থেকে যৌথভাবে ঢাকার সঙ্গে সপ্তম স্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে। গত বছরও একই অবস্থানে ছিল ঢাকা। তবে ওই সময় ঢাকার পয়েন্ট ছিল ৩৯ দশমিক ২।
আর ২০২২ সালের মতো চলতি বছরও ইআইইউয়ের বিশ্বের শীর্ষ বসবাসযোগ্য শহর নির্ধারিত রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। প্রথম স্থানে থাকা ভিয়েনার পয়েন্ট ৯৮ দশমিক ৪। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন (পয়েন্ট ৯৮) ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (পয়েন্ট ৯৭.৭)।
এছাড়া শীর্ষ দশ শহরের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (চতুর্থ), কানাডার ভ্যানকুভার (পঞ্চম), সুইজারল্যান্ডের জুরিখ (ষষ্ঠ), কানাডার ক্যালগ্যারি (৭ম) ও সুুইজারল্যান্ডের জেনেভা যৌথভাবে ৭ম স্থানে রয়েছে। এরপরই আছে কানাডার টরন্টো, জাপানের ওসাকা ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড।
বিশ্বের বসবাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের এই তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এরপর লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি ১৭২তম, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স ১৭১তম, নাইজেরিয়ার লাগোস ১৭০তম, পাকিস্তানের করাচি ১৬৯তম, পাপুয়া নিউ গিনির পোর্ট মোর্সবি ১৬৮তম, বাংলাদেশের ঢাকা ও জিম্বাবুয়ের হারারে যৌথভাবে ১৬৬তম, ইউক্রেনের কিয়েভ ১৬৫তম ও ক্যামেরুনের দৌয়ালা ১৬৪তম স্থানে রয়েছে।