হন্ডুরাসের রাজধানীর কাছে একটি নারী সংশোধনাগারে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছে বলে জানা গেছে। দাঙ্গা চলাকালীন জেলের একটি বড় অংশে আগুন লেগে যায়। আর তাতেই বহু নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার জেলের ভিতর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে দমকল-সহ অন্যান্য বাহিনীকে জেলের ভিতর ঢোকানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কীভাবে আগুন লেগেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। খবর ডয়চে ভেলের
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট শিওমারা কাস্ত্রো বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই ভয়াবহ ঘটনা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ক মন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়টির তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, জেলের ভিতর দুইটি শক্তিশালী গোষ্ঠী আছে। তাদের মধ্যেই মঙ্গলবার লড়াই শুরু হয়। এখনো পর্যন্ত সাতজন নারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের শরীরে গুলি এবং ছুঁরির আঘাত আছে। কীভাবে জেলের ভিতর এই ধরনের অস্ত্র ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জেল সূত্র জানিয়েছে, ওই সংশোধনাগারে অন্তত ৯০০ বন্দি আছে। দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর একটি গ্যাং অন্য গ্যাংয়ের সেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। বহু বন্দি সেলে আটকা পড়ে অগ্নিদদ্ধ হন। পালাতেও পারেননি।
গ্যাং লড়াইয়ে জর্জরিত হন্ডুরাস। সেখানে নারী এবং পুরুষদের একাধিক গ্যাং কাজ করে। জেলের ভিতরে এবং বাইরে তারা সক্রিয়। জেলের ভিতর রীতিমতো দোকান খুলে মাদক, অস্ত্র বিক্রি করা হয়। প্রশাসনের একটি অংশ এর সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ।