ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লা সোনা মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান সই করা প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
গত ১৫ জুন সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বোয়ালমারী উপজেলাধীন রুপাপাত ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুদক মামলা করে। আদালত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। ওই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা ইউপির ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই চেয়ারম্যানের সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউপিসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন অনুযায়ী তাকে পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমি কোনো কাগজপত্র পাইনি। দুদকের একটি মামলা থাকলেও তা চলমান। কিন্তু ওই মামলার রায় হয়নি। রায় দেওয়ার আগেই আমাকে বরখাস্ত করা হলে, আমি আইনি ব্যবস্থা নেবো।
বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, বুধবার সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। তাকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সে মামলার চার্জশিট ২০২৩ সালে আদালতে দাখিল করা হয়। অতঃপর চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দিয়েছে।