এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশী নারীদের। ভারতের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এদিন ৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় লতা মন্ডলের দল। ফলে ৩১ রানে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
হংকংয়ের মং ককে এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। দুই ওপেনারের পর মিডল অর্ডারের দক্ষতায় ১২৭ রান করতে সমর্থ হলে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৮ রানের। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ভালো সূচনা এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার সাথী রানী এবং দিলারা আক্তার। টাইগ্রেস ওপেনারদের দুটি উইকেটই নেন ভারতীয় বোলার মান্নাত কাশ্যপ। ১৩ ও ৫ রান করে সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক লতা মন্ডলও আউট হন ৪ রান করেই। এরপর সাত ওভার শেষেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান।
চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত টাইগ্রেসদের হাল ধরেন সুবহানা মুস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের তখন প্রয়োজন ৮৯ বলে ৯৯ রান। কিন্তু দুই ওভার পরই দলীয় ৩৭ রানে মুর্শিদা ১ রান করে ফিরে যাবার পর দশম ওভারে সাজঘরে ফেরেন সুবহানাও। আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিনি,আউট হন ২২ বলে ১৬ রান করেই।
আরও এক উইকেট হারিয়ে ১৩ ওভার শেষে টাইগ্রেসদের দলীয় স্কোর যখন ছয় উইকেট হারিয়ে ৬৬ তখনই আসে বৃষ্টির বাঁধা। ফলে কিছু সময় বন্ধ থাকে খেলা। খেলা আবার শুরু হলে সেমিতে বযাটে-বলে দুর্দান্ত খেলা রাবেয়া আজ ফিরে যান ৬ রান করেই। বাংলাদেশের তখন প্রয়োজন ৩৬ বলে ৫৬ রান, হাতে ৩ উইকেট। রাবেয়া ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ২৪ রান যোগ করেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।া
এদিকে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তুলতে সমর্থ হয় ভারতীয় নারীরা। দুই ওপেনার শ্বেতা সেরাওয়াত এবং উমা ছেত্রী শুরটা করেছিলেন ভালোই। তবে টাইগ্রেস বোলার নাহিদা আক্তার এবং রাবেয়া খানের নৈপুণ্যে ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। মাঝপথে ১৫ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট তুলে নিতে সমর্থ হয় বাংলাদেশের বোলাররা।
এরপর মিডল অর্ডারে বৃন্দা দিনেশ এবং কনিকা আহুজার দক্ষতায় বাংলাদেশকে ১২৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিতে সমর্থ হয় তারা। বৃন্দা ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে আউট হলেও কনিকা অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নেন নাহিদা এবং সুলতানা খান।