সময়টা একদম ভালো যাচ্ছে না অক্ষয় কুমারের। পরপর ফ্লপের মুখ দেখেছেন একসময় বলিউডের ‘হিট মেশিন’ নামে পরিচিত অক্ষয়। ‘সেলফি’, ‘রামসেতু’, ‘রক্ষাবন্ধন’, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এর মতো চর্চিত ছবির একটাও চলেনি বক্স অফিসে। ফলস্বরূপ সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বলিউডের খিলাড়িকে। যদিও তার কাছে এটা নতুন নয়। ব্যর্থতা ভুলে সামনে এগানোর মন্ত্র ভালোভাবেই জানা আছে তার। সেকথাই নতুন এক সাক্ষাৎকারে জানালেন অভিনেতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেন, ‘আমার জীবনে চড়াই-উতরাইয়ের অনেক পর্ব এসেছে। এগুলোর মধ্যে একটা জিনিস কমন। যখন সবকিছু ভালো চলছে, সবাই প্রশংসা করেছে আর যখন সময়টা ভালো যাচ্ছে না তখন মাত্রাতিরিক্ত সমালোচনা। আমিও মানুষ, আমারও ভালো বললে ভালো লাগে, আর খারাপ কথা বললে কষ্ট হয়। তবে আমি একটা বিষয় নিয়ে খুব গর্বিত। আমি খুব দ্রুত জীবনে এগিয়ে যেতে পারি, অতীত কামড়ে পড়ে থাকি না। আমি কাজ করতে ভালোবাসি। আমি প্রথম যেদিন কাজ শুরু করেছিলাম সেদিন যে ইচ্ছাশক্তি আমার মধ্যে ছিল, আজও সেটা অটুট রয়েছে। সেটা আমার থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’
অক্ষয় আরও যোগ করেন, ‘তোমাকে পরিশ্রম করে যেতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। উপরে এক শক্তি রয়েছেন, যিনি সবটা দেখছেন। তোমার সৎ কাজের, পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল একদিন না একদিন তুমি পাবে, আমি সেটাই বিশ্বাস করি।’
বক্স অফিস ব্যর্থতা কতটা ভাবায়— উত্তরে অক্ষয় বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি বিচলিত হই। দিনের শেষে বক্স অফিসের সাফল্য বা ব্যর্থতাই একজন অভিনেতার ক্যারিয়ার ভাঙে-গড়ে। এর ওপরই নির্ভর করে তুমি হিট না ফ্লপ। দর্শক বুঝিয়ে দেয় কখন তুমি ঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছো, কখন ভুল করছো। বক্স অফিসে এইগুলোর প্রতিফলন ধরা পড়ে। যখন দর্শক তোমার ছবি দেখতে হলে আসে না, বুঝতে হবে তারা সেই ছবির সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনি। তাহলে তোমায় আত্ম-বিশ্লেষণ করতে হবে, আর নিজেকে বদলাতে হবে। আমার মনে হয় গোটা ইন্ডাস্ট্রি এখন সেই চেষ্টাই করছে।’
অক্ষয়কে আগামিতে দেখা যাবে অমিত রাই পরিচালিত ‘ওহ মাই গড-টু’ ছবিতে। এতে শিব-রূপে দেখা যাবে অভিনেতাকে। এ ছাড়াও তার হাতে রয়েছে আরও বেশকিছু ছবি। হয়ত সেসব ছবির মাধ্যমে নিজেকে ফিরে পাবেন তিনি।