নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। তাকে নিয়ে যত সমালোচনাই থাকুক, বাংলাদেশের ক্রিকেট যে তার সময়ে অনেকটাই এগিয়েছে, এ কথা অস্বীকার করতে পারবেন না খোদ সমালোচকরাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটটাকে মনপ্রাণে ভালোবাসেন পাপন। তার যে এই ক্রিকেটের প্রতি আলাদা টান রয়েছে, তিনি উজাড় করে দিতে চান-এমন কথা সময়ে সময়ে শোনা গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানের মতো শীর্ষ তারকাদের মুখ থেকেও।
কিন্তু পাপন তো শুধু বিসিবির সভাপতিই নন। এর বাইরে আরও অনেক কিছুতে সম্পৃক্ত। তিনি একজন সংসদ সদস্য, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িত। সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে।
এত কিছু একসঙ্গে মানিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। আজ (শনিবার) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘আমি ফার্মাসিউটিকালের সঙ্গে জড়িত। এর বাইরে রাজনীতি আছে, যেটা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য। আমার বাবা করতেন, আপনারা সবাই জানেন। আমিও করছি এবং করবো। এর বাইরেও আরও অন্তত ২০টা জায়গা আছে যেখানে আমাকে সময় দিতে হয়।’
ক্রিকেটের কারণে অনেক কিছুই সেক্রিফাইস করতে হচ্ছে জানিয়ে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট আমার সবটুকু সময় নিয়ে নিচ্ছে। আজকেও আমার খুব জরুরি একটা মিটিং ছিল। কত জরুরি, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু আমি জানিয়েছি খেলার মধ্যে আমি কোনোভাবেই মিটিংয়ে থাকতে পারব না। খেলা বাদ দিয়ে আমার পক্ষে মিটিংয়ে থাকা সম্ভব না।’
কিন্তু এভাবে আর কতদিন? পাপন দিলেন দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট আমার সব সময় নিয়ে নিচ্ছে। আমি মনে করি এখন আমার সরে যাওয়ার সময় হয়েছে এখান থেকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে আমার যাওয়া দরকার। অন্য যেসব জায়গায় সময় দিতে পারছি না, সেটাও আমার দায়িত্ব। ক্রিকেটকে তো সময় দিলামই।’