চলতি বছরের প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ পরীক্ষা আয়োজন করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
এবার প্রতিটি স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে। তবে এ বছর মানবণ্টন গেল বছরের মতোই থাকবে কি না তা এখনো চূড়ান্ত করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণি পাঠ্যক্রমে আরও মনোযোগী করতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের স্বার্থে ২০২৩ সালের বৃত্তি পরীক্ষা এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নেওয়া হবে।
২০২২ সালের মতো একই পদ্ধতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ৫ম শ্রেণির ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
এর আগে গত বছর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রায় ৮২ হাজার শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছিল। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল প্রায় ৩৩ হাজার। আর সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে মাসে পায় ৩০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা পায় ২২৫ টাকা। এছাড়া উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন অর্থ দেওয়া হয়। এ বছরের বৃত্তিতেও সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ একই রাখা হচ্ছে।
গতবছর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে দুই ঘণ্টা সময়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরে হয়েছিল বৃত্তি পরীক্ষা।
বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে গত বছরের পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃত্তির জন্য সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বাতিল করতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে। পরে ১ মার্চ ফের বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।