বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গঠনে যেমন দুর্নীতির ব্যাপারে আপোষ করেননি, তেমনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। জিরো টলারেন্স ধরে দুদক কাজ করছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে সেবা দেয়াই আমাদের কাজ। সেই সেবা নিশ্চিতে দুদক কাজ করে। দুদক কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানকে হেয় করে না। দুদক নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আমরাা ঠিকমত পালন করছি কিনা, তা অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে এবং গণশুনানীর মাধ্যমে যাচাই করে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন দুদক সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১২ সালে মন্ত্রী পরিষদে শুদ্ধাচার নীতিমালা গ্রহণ করা হয়। শুদ্ধাচারে যারা নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রদান করে থাকেন তাদেরই শুদ্ধাচারে ভুষিত করা হয়। আর যারা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করে না, তাদের সম্পর্কে জানতে পারলে তাদের সমস্যা চিহ্ণিত করে থাকে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মঙ্গলবার(১৩ জুন) সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে দুর্নীতি দমন কমিশন আয়োজিত গণশুনানীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক সচিব গণশুনানী চলাকালে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের বক্তব্যে কিংবা উদ্যোগে সন্তোষ হতে না পারলে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে গণশুনানীতে উত্থাপিত অভিযোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হলো কিনা পরবর্তিতে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন দুদকের কর্মকর্তাদের ।
রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে রংপুর জেলা প্রশাসক ডক্টর চিত্রলেখা নাজনীন এর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় দুর্নীতি দমন কমিশন এর মহাপরিচালক আখতার হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলিম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আব্দুল করিম, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি রংপুর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশান্ত চন্দ্র খা।
গণশুনানী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী প্রচারণাবুথের মাধ্যমে মোট ৭৭ টি অভিযোগ জমা পরলেও ৪৫ টি অভিযোগের উপর গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩২ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের রংপুর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ। গণশুনানীতে ৩২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিআরটিএ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর সিটি করপোরেশন, ভুমি অফিস ও পাসপোর্ট অফিসর রংপুরের অভিযোগ ছিলো উল্লেখযোগ্য।