চলতি জুনের প্রথম ৯ দিনে দেশে ৫৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় ১০৮ টাকা ১৯ পয়সা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। এই হিসেবে দিনে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা দেশে এসেছে। যেখানে গত মে মাসজুড়ে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
রোববার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি জুনের প্রথম দুই দিনে দেশে এসেছে ৭ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর পরের সাত দিনে (৩-৯ জুন) আরও ৫০ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।এর আগে গত এপ্রিলে দেশে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। তার আগের মাসে (মার্চ, ২০২৩) এসেছিল ২০১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়াও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর চলতি বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি, ২০২৩) রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে দেশে মোট ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর পরের মাসে (আগস্ট, ২০২২) রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা কমে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। একই ধারা অব্যাহত থাকে পরের মাস সেপ্টেম্বরেও। এই মাসে দেশে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ফলে প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এছাড়াও গত বছরের অক্টোবরে আরেক দফায় কমে দেশে আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। শুরুতে এই সংকট মোকাবিলায় ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করত কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এতে তেমন ফল হয়নি। ফলে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।
এরপর থেকেই ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) মিলে রফতানি ও প্রবাসী আয় ছাড়াও আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।