বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী হামলায় মুখে রক্তাক্ত হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তা দেখেননি বলে দাবি করেছেন। উল্টো হামলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, ‘রক্তাক্ত সবকিছু আপেক্ষিক। উনি কি ইন্তেকাল করেছেন। আমরা ওনার রক্তক্ষরণটা দেখিনি। শুনেছি ওনাকে কেউ পেছন থেকে ঘুষি মেরেছে।’
সোমবার (১২ জুন) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ কিছু পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শেষে ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
তবে ঘটনার পরপরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা দেখেছি, শুনেছি যে হাতপাখার প্রার্থীকে খানিকটা আঘাত করা হয়েছিল এবং সেটা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। সে উত্তেজনা হয়তো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। আমাদের এখান থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন উত্তর যেন কোন সহিংসতা না হয়। কোন রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যেন না হয়। কারণ ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। সেই প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এই ধরণের ঘটনা আশা করি ঘটবে না।
ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সিইসি বলেন, দুই সিটি করপোরেশন ছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন, আরও বেশ কিছু নির্বাচন হয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি কারণ বেশ সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখর পরিবেশে হয়েছে। আমরা গণমাধ্যমে সেটা দেখেছি। দুই চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বাকি নির্বাচন সুন্দর হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আজকে ভোট নিয়ে আমাদের যে পর্যবেক্ষণ তাতে সার্বিক অর্থে সুন্দর ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া।
বরিশালের ঘটনার কারণে ভোট বাধাগ্রস্ত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না আমরা যতটা খবর পেয়েছে ভোট বাধাগ্রস্ত হয়নি। উনিও (হাতপাখার প্রার্থী) কিন্তু বলেছেন ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে। ওই কারণে ভোট বাধাগ্রস্ত হয়নি। তার ওপর হামলার পর পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হামলার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে ইতিমধ্যে। আরও নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলে পরে আবার জানাবো।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সিইসি বলেন, খুলনায় সম্ভাব্য ৪২-৪৫শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা এখনই অবশ্য সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। আর বরিশালে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যোগ-বিয়োগ হতে পারে। কক্সবাজার পৌরসভায় ৫৫ শতাংশ ভোটের কথা জেনেছি।