সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার সামনে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহও এ বিষয়ে অভিযোগ এনেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফতাবের বিরুদ্ধে।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনাটি মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালের। তবে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেল থেকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ফুটেজে দেখা যায়, নগরীর ১৩/১৩ সুবিধবাজার দিঘির পাড়ে কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেন ঘুড়ি মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খান। বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেলে যুবকরা প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার সামনে গিয়ে গেটের দিকে অস্ত্র প্রদর্শন করেন। এসময় একটি মোটরসাইকেলে ওই কাউন্সিলর প্রার্থীকেও দেখা যায়।
এ বিষয়ে লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহ বলেন, গত মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোরে কয়েকটি মোটরসাইকেলে লোকজন নিয়ে আফতাব হোসেন খান বাসার সামনে এসে সশস্ত্র মহড়া দেন। তারা বাসার গেটের এসে অস্ত্র প্রদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার লোকমুখে জেনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি। তারা প্রতিদিন শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ জুন রাত ১০টায় নগরের জালালাবাদ এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এক কর্মী আহত হওয়ায় আমাকে দায়ী করা হয়। অথচ ওই ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম। সশস্ত্র মহড়ার কারণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। ঘটনাটি মৌখিকভাবে সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে (তদন্ত) ফোন করে জানিয়েছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আজ (শুক্রবার) লিখিত অভিযোগ দেবো।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান বলেন, আমি প্রতিদিনই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অস্ত্র প্রদর্শনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ করে থাকলে আমার জানা নেই।