স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলা শহরে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বর্তমানে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের জন্য নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরন।
একই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সতর্ক রয়েছে। নকল ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিরুদ্ধে সারাদেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশের ৫টি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সৌদি অর্থায়নে বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পটি ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। যা আগামী ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি দলের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসমূহের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নকল্পে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫৯টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ ও ৬ ক্যাটাগরির ১ হাজার ৫৯০টি পদ সৃজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৬৭ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস, ২০২২ উপলক্ষ্যে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ২৪/৭ নিরাপদ প্রসবসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১ম ফেইজে ৫০০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকে মডেল কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং নিরাপদ প্রসবসেবা দেওয়া হচ্ছে। ২য় ও ৩য় ফেইজে আরও ১ হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে বর্তমানে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ৩ হাজার ৩৬৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, পুরোনো ২৪টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং নবসৃষ্ট ১৩০টি ১০ শয্যা বিশিষ্ট ইউনিয়ন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সাধারণ রোগীর সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।