ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব চালানোর মামলার এক আসামিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জোসনার নিজ দলের পক্ষ থেকেই এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে। আবেদনকারী আবুল বাশার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আবেদনের অনুলিপি আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকেও দেওয়া হয়েছে।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। অভিযোগ উঠেছে, ভাঙচুর চালানোর জন্য আশুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক দুলাল মিয়া লোক সরবরাহ করেন। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবগত আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দুলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আবেদনে বলা হয়, জোসনা প্রভাব খাটিয়ে দুলালকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য প্রত্যয়ন দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন।
তবে আশুগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ। যারা আমাদের সঙ্গে চলাফেরা করছে, তাদের বিএনপির তালিকায় নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। দুলালের বাবা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন। পুলিশ যাচাই-বাছাই করেই তারপর তাকে ছেড়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, এগুলো স্থানীয় অভিযোগ। এরা এক জন আরেক জনের প্রতিপক্ষ। তারপরেও অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।