রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য ধরে রাখতেই আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
সোমবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তিনি।
ডিবি হারুন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার নেপথ্যে চাঁদাবাজি। যা প্রাথমিক তদন্তে আমরা পেয়েছি। এজন্য মতিঝিল ডিবি পুলিশের সদস্যরা বিষয়টি রাত-দিন পরিশ্রম করে কাজ করেছেন। এ ঘটনায় যারা সম্পৃক্ত নয়, আমরা তাদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এঘটনায় কে কোন দল করে আমরা তা দেখিনি।
তিনি বলেন, মতিঝিলের ঘটনায় আমরা মোল্লা শামীমকে বর্ডার এলাকা থেকে ও শুটার আকাশকে বগুড়া গ্রেফতার করেছি। মুসাকে আমরা ওমান থেকে নিয়ে এসেছি। তদন্তের কোনো পর্যায়ে যেন ভুল না হয়, আমরা সেভাবে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছি। কে কোন দল করছে আমরা তা দেখার চেষ্টা করিনি। যারাই অপরাধী আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম এসেছে, আমরা সবাইকে গ্রেফতার করেছি। বিনা অপরাধে কাউকে এই মামলায় সম্পৃক্ত করিনি।
এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল টিপুকে হত্যার কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মতিঝিল এলাকায় অনেক ভাল ভাল স্কুল রয়েছে। যেগুলোতে ভর্তি বাণিজ্য হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কাঁচা বাজার রয়েছে। যেগুলো থেকেও চাঁদাবাজি হতো। মূলত মতিঝিল এলাকার আধিপত্য কে নেবেসহ সবকিছু মিলে তারা টিপুকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, নেপথ্যে থেকে কাজ করেছে, ইন্ধন জুগিয়েছে এবং পরিকল্পনা করেছে মামলার চার্জশিটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতিঝিল বিভাগের ডিবির সদস্যরা কয়েকদিনের মধ্যে যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সেদিন কিন্তু টিপু ছাড়াও আরও একজন মার্ডার হয়েছিল। তার নাম সামিয়া জামান প্রীতি। গুলি করা হলে সেও মারা যায়। তদন্ত শুরু করে আমরা এ ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করি।