ভারতের উড়িষ্যায় দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় তিনশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন সাড়ে আটশর বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারতে এ ধরনের প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা নতুন নয়। অতীতে বহুবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ভারতীয় ট্রেন, যাতে প্রাণ হারিয়েছে শত শত মানুষ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ইতিহাসে কিছু প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা-
* ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮১ সালের ৬ জুন। সেদিন বিহারে সেতু পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন বাগমতি নদীতে পড়ে যায়। এতে মারা যান ৭৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
* ১৯৯৫ সালের ২০ আগস্ট ফিরোজাবাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কালিন্দী এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসের। সরকারি হিসাবে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩০৫ জনের।
* ১৯৯৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাঞ্জাবের খান্নায় ফ্রন্টিয়ার গোল্ডেন টেম্পল মেইলের তিনটি লাইনচ্যুত কোচের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জম্মু তাউই-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের। এতে প্রাণ হারান ২১২ জন।
* ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের গাইসালে ঘটে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। সেদিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা অবধ আসাম এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ব্রহ্মপুত্র মেইলের। এতে ২৮৫ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান, আহত হন তিন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিএসএফ ও সিআরপিএফ সদস্য।
* ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর কানপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে পুখরায়নে লাইনচ্যুত হয় ইন্দোর-রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি। এতে মারা যান ১৫২ জন, আহত হন অন্তত ২৬০ জন যাত্রী।
*২০০২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিহারের রাফিগঞ্জে ঘটে ভয়াবহ আরেক দুর্ঘটনা। সেদিন ধেভ নদীতে একটি সেতুর ওপর লাইনচ্যুত হয় হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস। এতে ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনার জন্য অবশ্য সন্ত্রাসী নাশকতাকে দায়ী করেছিল সরকার।
* ১৯৬৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রামেশ্বরম ঘূর্ণিঝড়ে ভেসে যায় পামবান-ধনুস্কোডি যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ১২৬ জনেরও বেশি যাত্রী নিহত হন।
* ২০১০ সালের ২৮ মে ঝাড়গ্রামের কাছে লাইনচ্যুত হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। মুম্বাইগামী ট্রেনটিতে এরপর ধাক্কা দেয় আরেকটি মালবাহী ট্রেন। এতে অন্তত ১৪৮ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।