২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বড় আকারে সরকারের শেষ বাজেট নিয়ে এলেন তিনি। এ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার পঞ্চম বাজেট।
আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। বাজেটে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা উন্নয়ন বাজেট রাখা হয়েছে। উন্নয়ন বাজেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গ্রামীণ অবকাঠামোসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট এটি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে আমি সর্বজনীনন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কাজটি এরই মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে এনেছি। মহান জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ পাস হয়েছে। আশা করছি, ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে। প্রস্তাবিত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা দেওয়ার সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরাও অংশ নিতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা দেওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমা করা অর্থের সর্ব্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। শিগগির একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে।