বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় সাজা বহাল রাখার প্রতিবাদে মাঠে নামছে বিএনপি।
উচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। বিকেল ৫ টায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, দুর্নীতির আরেক মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে, গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপি’র নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করেন।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।