রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আয় ও সম্পদের ক্ষেত্রে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ধারেকাছেও নেই বাকি ৩ মেয়র প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্যদের বার্ষিক আয় যেখানে ৩ লাখের ঘরে, সেখানে সদ্য সাবেক এই মেয়রের একার আয়ই বছরে ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০১৮ সালের তুলনায়, আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্যের আয় বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণেরও বেশি। সঙ্গে বেড়েছে স্ত্রীর আয় আর সম্পদের পরিমাণও।
তৃতীয় মেয়াদে মেয়র হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী সিটি মেয়র নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও জাকের পার্টির ৩ নেতা লড়ছেন মাঠে। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বলছে, বাকি ৩ মেয়র প্রার্থীর বার্ষিক আয় একত্রিত করেও যে অংক আসে, লিটন একাই বছরে আয় করেন তার চেয়ে ৩২ গুণ বেশি!
২০১৮ সালে লিটনের নিজের আয় ছিল ৭৮ লাখ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। সেবার স্ত্রীর কোনো আয় না থাকলেও এবার তার আয় মেয়র প্রার্থী লিটনের বার্ষিক আয়ের চেয়েও বেশি। হিসাব বলছে, মাছ চাষে বড় রকমের আয়বৃদ্ধি ঘটেছে লিটনের নিজের। একই খাতের পাশাপাশি ব্যবসায় আয় দেখানো হয়েছে তার স্ত্রীর। সবখানেই অংকটা কোটি ছাড়িয়ে। বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে আয়ও বেড়েছে কয়েক গুণ।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শুধু সরকার নয়, মানুষ নিজের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্যও চেষ্টা করে। সেই ধারাবাহিকতায় আয়ও বাড়তে পারে। ২০১৮ সালের তুলনায় সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে লিটন ও তার স্ত্রীর। অস্থাবর হিসেবে লিটনের নামে সম্পদের মূল্যমান এখন ৪ কোটি টাকার বেশি। স্ত্রীর ক্ষেত্রে তা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। স্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে লিটনের কৃষিজমি বেড়েছে। আগে না থাকলেও এখন কৃষিজমি আছে স্ত্রী শাহিন আকতার রেনির। শহরে কিনেছেন একটি পুরনো দোতলা বাড়ি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই মাছের খামার রয়েছে।
নিয়মানুযায়ী হলফনামার এসব তথ্য ভোটারদের জন্য সহজলভ্য করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালে যখন প্রথমবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন খায়রুজ্জামান লিটনের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। তার এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীই প্রথমবারের মতো সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।