ভোটের আগে গাজীপুরে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)সহ অন্য কমিশনাররা। সদ্য সমাপ্ত গাজীপুরে ‘বিতর্কহীন’ ভোট শেষে ফুরফুরে থাকা ইসি পরবর্তী ধাপের সিটি নির্বাচনও সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরইঅংশ হিসেবে দুদিনের সফরে বরিশালে যাচ্ছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (২৬ মে) বিকেল সোয়া ৩টায় বিমানযোগে তিনি বরিশালের উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানা গেছে। সফরকালে তিনি বরিশালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এরবাইরে সুষ্ঠু নির্বাচনের দিক নির্দেশনা দিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক করবেন সিইসি।
রোববার (২৭ মে) বিকেল আড়াইটায় বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সিইসির এই বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা আছে।
বৈঠক শেষে তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৬ মে। বাছাই হয়েছে ১৮ মে। ২৫ মের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ সময় ছিল এবং গত ২৬ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।
সিইসির একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন, আজ (শনিবার) বিকেলে বরিশাল পৌঁছানোর পর কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করলেও আগামীকাল রোববার সকাল ১০টা থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন সিইসি।
বরিশালে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস লাঙ্গল, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম হাতপাখা এবং জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুকে দলীয় প্রতীক গোলাপ নিয়ে লড়ছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন টেবিল ঘড়ি, আসাদুজ্জামান আসাদ হরিণ ও আলী হোসেন হাতি প্রতীক পেয়েছেন।
আগামী ১২ জুন নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।