পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তার কাছাকাছি উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভসে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে পরবর্তী তিন দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, খুলনায় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দেশের সর্বোচ্চ ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এ সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪৩, বগুড়ায় ৩৮, রংপুরে ৩৬, নেত্রকোনায় ৩০, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ২৬, সিলেট ও বরিশালে ২৪, চুয়াডাঙ্গায় ২১, নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১৯, নীলফামারীর ডিমলায় ১৭, বাগেরহাটের মোংলা ও নওগাঁর বদলগাছীতে ১৬, যশোরে ১৫, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৪, তেঁতুলিয়ায় ১৩, রাজারহাটে ১২, টাঙ্গাইলে ১১ এবং পাবনার ঈশ্বরদী ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, নীলফামারীর সৈয়দপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বান্দরবান, খুলনা, পটুয়াখালী ও ভোলায়ও বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকায় শুক্রবার দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এদিন সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।