রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা থেকে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা রয়েছে ধানমন্ডি থানায়। অন্যটি হয়েছে নিউমার্কেট থানায়। মঙ্গলবার রাতে করা তিনটি মামলারই বাদী পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ধানমন্ডি থানায় করা দুটি মামলার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অন্যটি বিস্ফোরক আইনে করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি ইকরাম আলী আরও জানান, দুটি মামলার একটির বাদী এসআই মঈদ খান। অন্যটির বাদী এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির ৪৬ নেতাকর্মীরা নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজ মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলায় বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) সবুজ মিয়া।
মঙ্গলবার (২৪ মে) বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত পদযাত্রা ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি সিটি কলেজের সামনে গেলে পদযাত্রার শেষের সারি থেকে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা করে। এছাড়া তারা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বাসের গ্লাসও ভেঙেছেন। সংঘর্ষে ১২/১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে পদযাত্রা থেকে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
রিমান্ড নিতে চাওয়া আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন সৈকত, মো. সাইফুল ইসলাম, রিপন হোসেন, মো. রুহুল, মো. আব্দুস সালাম, মো. সুজন, মো. নজরুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির আহমেদ, আমিনুল ইসলাম ও শাহ আলম।