৫ সিটি নির্বাচন ছাড়াও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনোপ্রকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেছেন, ‘আমি সরকারি দলের সেক্রেটারি বলছি, দুই দিন পর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনোপ্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচন নয়, সকল সিটি নির্বাচন এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব- আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে।’
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মিছিল ছাড়াও ওই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব, আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে।’
আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না। তারা চায় সংঘাত, অস্থিরতা, অশান্তি, রক্তপাত। আমরা চাই নির্বাচন, বাংলাদেশের জনকণ্ঠকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’
গাজীপুরসহ সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেউ আসুক বা না আসুক একই ধারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে। এই নির্বাচনে বাধা দিতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।’
শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত-পাল্টা সংঘাতে যাব না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাতারের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার আগে নেত্রী বলে গেছেন- কোনো সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাতে যাব না, কিন্তু সংঘাত কেউ করতে আসলে আমরা চুপ করে বসে থাকব? আমাদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায়, তাহলে আমরা হামলা চালাব না? হামলা করলে তার সমুচিত জবাব কীভাবে দিতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় আপনারা মাথা গরম করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় এই অপশক্তিকে (বিএনপি) বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। যদি কেউ নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসে, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে, জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ করব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা, আপনি একা নন, বাংলাদেশের জনগণ আপনার সাথে আছে। সমগ্র বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী বিপদে-আপদে, শত দুর্যোগে আপনার সাথে আছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন