অক্সিজেনের পাইপ নাকে নিয়ে রিকশা চালানো মাইনুরজ্জামান সেন্টুর দিকে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ মাইনুরজ্জামান সেন্টুর সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মাইনুরজ্জামান সেন্টুকে আর রিকশা চালাতে হবে না। তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তার কাজের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেহেতু তিনি পরিশ্রম করতে পারবেন না, তাই খুব অল্প পরিশ্রমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন এমন কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। হতে পারে দোকান। অসুস্থ মাইনুরজ্জামান সেন্টুকে মেডিকেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তিনি আসলে কী ধরনের কাজ করতে পারবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইনুরজ্জামান সেন্টুকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। এছাড়া তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। তাকে চিকিৎসা ছাড়াও অন্য খরচের জন্য নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৫ মে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে মাইনুরজ্জামান সেন্টুকে নিয়ে ‘অক্সিজেনের পাইপ নাকে নিয়ে রিকশা চালান তিনি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ঘটনাটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদন দেখে অনেকেই তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মাইনুরজ্জামান সেন্টু বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন।