নিখোঁজের ১০ দিন পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ফারাবী আহমেদ হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় নিহতের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুরে একটি পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ভেসে না ওঠার জন্য বস্তায় ইট বেঁধে দেয় হত্যাকারীরা। হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতাররা হলেন- মুয়াজ হোসেন পরান (২২)। তিনি মানিকগঞ্জের সদর থানার পশ্চিম দাস পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনর ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার জামগড়ায় শফিকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অপরজনের নাম সুমন মিয়া বাপ্পী (২৫)। তিনি বগুড়ার সোনাতলা থানার মহেশপাড়া গ্রামের মো. তাহেলুল ইসলাসের ছেলে। তিনিও আশুলিয়া শ্রীপুরে দারোগা আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
এ বিষয়ে র্যাব ৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুর রহমান জানান, ভিকটিম ও আসামি পরান একই এলাকার বাসিন্দা। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল। গ্রেফতারকৃত ময়েজ হোসেন পরান ও তার সহযোগী মো. সুমন মিয়া বাপ্পি ও অপর দুজন পলাতক।
তিনি জানান, ৮ মে বিকেলে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে হৃদয়কে আকাশের বাসায় নিয়ে যান আসামিরা। তারা হৃদয়কে রশি দিয়ে বেঁধে তার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে তারা হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ বস্তাবন্দী করে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়।