সাবেক ডাচ সংসদ সদস্য হ্যারি ভ্যান বোমেল বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত তার নেতৃত্বে একটি ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান কতৃক সংগঠিত গণহত্যার তদন্ত করবে।
ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরামের (ইবিএফ) উদ্যোগে এই মিশনটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিনিধি দলে থাকবেন- গণহত্যার বিজ্ঞানী অ্যান্থনি হোলস্যাগ (ভিইউ), রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ব্রিটিশ ইবিএফ চেয়ারম্যান আনসার আহমেদ উল্লাহ এবং ডাচ ইবিএফ চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া।
মিশনের লক্ষ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ডাচ সংবাদ সম্পর্কিত এএনপি প্রেস পোর্টাল।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে ভিকটিম, প্রত্যক্ষদর্শী, গণহত্যার গবেষক, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়াও দলটি রাজধানী ঢাকা এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের আশেপাশে বেশ কয়েকটি বদ্ধভূমি এবং যুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
এই মিশনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি, মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যেও ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতা ভ্যান বোমেলের মতে, ‘এই গণহত্যার ডাচদের স্বীকৃতি প্রাসঙ্গিক। কারণ নেদারল্যান্ড ছিল প্রথম দেশ যারা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়।’
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন তার ফলাফলগুলো ডাচ সরকার এবং প্রতিনিধি পরিষদকে জানাবে। ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম তদন্তের ফলাফল নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে।