আজ সোমবার সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বরেণ্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের। দুই বছর ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালটিতে। হাসপাতালে ইবাদত-বন্দেগি করে সময় কাটত ফারুকের। চলতি বছরের শুরুতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সারাক্ষণই ফারুকের সঙ্গে ছায়ার মতো আছি। দুইজন গল্প করছি। এজন্য সবসময় সে খোশমেজাজেই থাকে। ইবাদত-বন্দেগি করে সময় কাটছে তার। কিছু সময় ঘুমিয়ে কাটে। অনেকেই ফোন করে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। দেশের মানুষ ফারুককে কত ভালোবাসেন তা প্রতিনিয়ত ফোন পেয়ে বুঝছি। মাঝেমধ্যে এলাকার মানুষের সঙ্গে অল্পস্বল্প কথা বলছেন। দোয়া করবেন, যেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আবার যেন ফারুক ফিরতে পারে সবার হৃদয়ে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশে আসার জন্য ফারুক উদগ্রীব। জমে আছে সংসদীয় এলাকার অনেক কাজকর্ম। দেশে ফিরে কাজগুলো সারবেন বলেছেন।’
প্রায় পাঁচ দশক ঢালিউডে অবদান রেখেছেন অভিনেতা ফারুক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২০২১ সালের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে যান বরেণ্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে তখন দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তখন থেকেই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন ফারুক। সেখানে দুই বছর চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।