কিংবদন্তি অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। ফেসবুকের জমিনে তাকে নিয়ে লিখছেন শোকগাঁথা।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চিত্রনায়িকা শাবনূর ফারুকের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, কিংবদন্তির চিরবিদায়। ওপারে ভালো থাকবেন সবার হৃদয়ে গেঁথে থাকা পর্দার ‘সুজন’ ফারুক স্যার।
চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী লিখেছেন, না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। প্রায় পাঁচ দশক ধরে রুপালি পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক ভাই। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। আজ সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। তবে কথায় আছে, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। আপনিও আজীবন বেঁচে থাকবেন আমাদের সবার হৃদয়ের পাতায়।
আরেক নায়ক মামনুন ইমন লিখেছেন, বিদায় মিয়াভাই। আজ ঘণ্টাদুয়েক আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ (গুলশান -বনানী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তবে জায়েদ খানের বিশ্বাস হচ্ছে না ফারুক মারা গেছেন। তিনি লিখেছেন, এতক্ষণ কিছু লিখিনি কারণ, মনে হয়েছে আপনি বেঁচে আছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে চলে গেলেন। এটা তো কথা ছিল না। বলেছিলেন জায়েদ আসতেছি, আড্ডা হবে। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি নাই।
ফোকসম্রাজ্ঞী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম লিখেছেন, জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বীর সন্তানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
জাহারা মিতু লিখেছেন, বিটিভিতে আপনার ছবি দেখে বড় হয়েছি। গ্রাম্য ছেলের ভূমিকায় কি অনবদ্য আপনি! আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসিব করুক। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ সোমবার সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। দুই বছর আগে ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রক্তের সংক্রমন ধরা পড়লে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।