প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অবাদে গাছ কাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা স্থাপনসহ নানান কারণে বেড়ে গেছে পৃথিবীর উষ্ণতা। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের ওপর বয়ে গেছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপ প্রবাহ।
নতুন এ ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন। প্রকল্পের অংশ হিসেবে সংস্থাটি বিশ্বের কয়েকটি দেশে ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ দিয়েছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বুশরা আফরিন নামে এক তরুণীকে এ পদে দায়িত্ব দেয় সংস্থাটি। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকের মেয়ে তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বুশরাকে নিয়ে গত ৫ মে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয় বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রিটাউন, গ্রিসের অ্যাথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে চিফ হিট অফিসার রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় এ পদে আছেন দু’জন।
একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো— অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের অধীনে বিশ্বব্যাপী এ পদে মাত্র ৮ জন কাজ করছেন। আর তাদের মধ্যে সবাই নারী।
এসব চিফ হিট অফিসাররা শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা উদ্ভাবন করা, সেগুলো জানানো ও বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করে থাকেন।
বিশ্বে ২০২১ সালে প্রথম ব্যক্তি ও নারী হিসেবে চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান জেন গিলবার্ট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামিতে কাজ করেন। এরপর একে একে বাকিরাও এই পদে যোগ দেন।
দ্বিতীয় নারী হিসেবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেন এলেনি মাইরিভিলি। তিনি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নিয়োগ পান। তবে ২০২৩ সালের মার্চে তাকে এথেন্স থেকে জাতিসংঘের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এলেনি মাইরিভেলিকে জাতিসংঘের দায়িত্ব দেওয়ার পর এথেন্সে নিয়োগ দেওয়া হয় এলিসাবেথ বারজিয়ান্নিকে।
আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নের ফ্রিটাউনে চিফ হিট অফিসার হিসেবে রয়েছেন ইগুইনা কার্গবো।
লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির সান্তিয়াগো শহরে এই দায়িত্বে আছেন ক্রিস্টিনা হুইদোরবো তোরনাবোল।
অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন ক্রিস্টা মিলনে এবং টিফানি ক্রোফোর্ড।