একাধিক বিস্ফোরণ রুশ-অধিভুক্ত ক্রিমিয়া কেঁপে উঠেছে। একজন মস্কোপন্থী কর্মকর্তা কিয়েভকে দশটিরও বেশি ড্রোন হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অপরদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও সারাক্ষণ বেজে চলেছে হামলার সাইরেন।
জাতিসংঘের পরমাণু প্রধান রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের চারপাশে ‘বিপজ্জনক’ পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে যে, রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ড্রোন হামলাকে প্রতিহত করেছে। এছাড়া ক্রিমিয়ার বন্দর শহর সেভাস্তোপলে অন্তত তিনটি ক্রুবিহীন যানবাহন ভূপাতিত হয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে সেভাস্তোপলের মস্কো-ইনস্টল করা গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ বলেছেন, ‘[সেভাস্তোপলে] কোনো স্থাপনা বা ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেন থেকে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের অন্য কোথাও হামলার কারণে কোন ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক বিবরণ পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে যুক্ত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল রোববারের শুরুতে রিপোর্ট করেছিল যে, ক্রিমিয়াতে ধারাবাহিক আক্রমণে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আল জাজিরা স্বাধীনভাবে প্রতিবেদনগুলি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। কিয়েভ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইউক্রেনে দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে রোববারের প্রথম কয়েক ঘন্টা বিমান হামলার সতর্কতা ছড়িয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিয়েভের আকাশসীমার বেশ কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে।
কিভের সামরিক প্রশাসন টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছে, ‘শেষ এয়ার অ্যালার্টের সময় কিয়েভের আকাশসীমায় একটি শত্রু পুনরুদ্ধারকারী ইউএভি [মানবহীন এরিয়াল ভেহিকল] শনাক্ত করা হয়েছিল।’
ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, রাতারাতি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে সম্ভাব্য হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনও তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়নি।