সাতক্ষীরায় কর্মরত পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
রোববার (৭ মে) শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
মিথ্যা মামলার বিষয়ে বিবৃতি দেন- শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি.এম আকবর কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, সিনিয়র সাংবাদিক গাজী সালাউদ্দিন বাপ্পী, শেখ আফজালুর রহমান, আলহাজ্জ আবু কাওসার, আবু সাইদ, এস.এম মোস্তফা কামাল, এস কে সিরাজ, এম আব্দুর রহমান বাবু, তপণ কুমার বিশ্বাস, শেখ সোহরাব হোসেন, জি.এম আব্দুল কাদের, আলমগীর সিদ্দিকী ও রণজিৎ কুমার বর্মণ, আবুল হোসেনসহ অনেকে।
কাল্পনিক এই চাঁদাবাজির মামলায় শিকার হয়েছেন দৈনিক ভোরের পাতা ও ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, দৈনিক পত্রদূত ও এজেড নিউজ বিডি’র প্রতিনিধি হোসেন আলী, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান ও দৈনিক কালের চিত্রের প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস।
এ ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি সেমাই কারখানায় নিম্নমানের ভেজাল সেমাই উৎপাদন সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর র্যাব-৬ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত উক্ত কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে।
বিএসটিআই এর নিবন্ধন ছাড়াই নিম্নমানের সেমাই উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানাটি সিলগালা এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এই ঘটনায় কয়েকদিন পর উক্ত কারখানার মালিক পক্ষ সম্পূর্ণ সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো প্রকার সংবাদ প্রকাশ না করেও মামলার শিকার হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।