বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে চার লাখ টন ধান, ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য ৩০ এবং সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা।
রোববার (০৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষ থেকে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৩ এর উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এসময় মন্ত্রী ভার্চুয়ালি ৮ বিভাগের ১৬ জেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে সারাদেশে ধান ও চাল কেনা শুরু হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরও জানাতে হবে যে আমরা ক্রয় শুরু করেছি। প্রান্তিক কৃষকদের ফিরিয়ে দিয়ে কোনো ব্যবসায়ীর ধান যাতে কেনা না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
মিল মালিকদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো খারাপ চাল যাতে কেনা না হয়। পুরান চাল ছাঁটাই করে নিয়ে এসে নতুন বলে বিক্রি করতে চাইলে তা যাতে কেনা না হয়। কোনোক্রমেই এ ধরনের চাল কেনা যাবে না। নীতিমালা অনুসারে ভালো চাল কিনতে হবে।
তিনি বলেন, যখন আমরা খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএসে যখন চাল দেওয়া হবে, তখন যাতে তা ভালো থাকে। মানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, মজুতের বিষয়ে আমরা এবার শক্ত অবস্থানে আছি। আমরা নতুন আইন করছি। এটি আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে। মজুত, পরিবহন, চালের বস্তায় ধানের দাম লেখা- নানাবিধ বিষয়ের খুঁটিনাটি দেওয়া আছে। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এটি মোবাইল কোর্টে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ আইনটি হলে যারা চাল প্যাকেটজাত করে সেই গ্রুপগুলোও ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, প্যাকেটজাত করে চাল বিক্রি করা দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে আমি নিজে মামলা করেছি। অনেকেই বলেছেন আপনি মামলা করেছেন, চেয়ার গেল কী গেল। আমি বলেছি আমি রিজাইন দেওয়ার জন্য রেডি আছি। কিছুই তো হয়নি। এটা নিয়ে ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে, আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা ধান দিতে এসে যাতে কোনো কষ্ট না পান। কৃষকরা পেটের যোগান দেন, তারা সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি, তাদের মর্যাদা দিতে হবে। তারা ধান নিয়ে এসে যেন ফেরত যেতে না হয়। কৃষি কর্মকর্তাদের উচিত হবে, কৃষকরা ধান দেবে, তাদের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার মেশিন দিয়ে আর্দ্রতা দেখে নেওয়া। তারপর ভালো ধান গুদামে নিয়ে গেলে, তা যদি ফেরত দেওয়া হয়, তাহলে আমার পরিষ্কার কথা, তাদের (কর্মকর্তাদের) জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।